হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

তুর্কি যুদ্ধবিমানের আধুনিকায়নে প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সম্মত ব্রিটেন

তুর্কি বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানের আধুনিকায়নে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ব্রিটেন।

আঙ্কারায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

মে বলেন, ‘এই প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে আরো একবার প্রমাণ হলো ব্রিটেন বিশ্বব্যাপী একটি বনিকের জাতি।’


তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করতে আগ্রহী এবং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান জানিয়েছেন তার দেশ ব্রিটেনের সঙ্গে বছরে ২০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে।’

ব্রিটিশ এয়ারক্রাফট ও তুরস্কের অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে এ প্রতিরক্ষা চুক্তির উদ্দেশ্য হচ্ছে তুর্কি যুদ্ধবিমানকে আরো আধুনিকায়ন করা।

চুক্তির ঘোষণায় বলা হয়েছে, এই চুক্তির মাধ্যমে একটি গভীর প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের পথকে আরো সুগম করবে।

মে বলেন, ‘এটা তুরস্কের সঙ্গে একটি নতুন ও গভীর বাণিজ্যিক সম্পর্কের সূচনা করল এবং ব্রিটিশ ও তুর্কির নিরাপত্তাকে সমৃদ্ধি করবে।’

ব্রিটিশ এয়ারক্রাফটের প্রধান নির্বাহী ইয়ান কিং বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে তুরস্ক ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল।’

তুরস্কে বিবিসির সংবাদদাতা মার্ক লোয়েন জানান, শীর্ষ বাণিজ্য এজেন্ডার সঙ্গে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি ব্রেক্সিট পরবর্তী ব্রিটেনের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার একটি অর্জন হিসেবে থেরেসা মে এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তার সরকার আরো বড় অর্থনীতির দেশের সঙ্গে ব্রিটিশ বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী এই প্রতিরক্ষা চুক্তি তারই বার্তা বহন করে।

তিনি জানান, নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়েও এই দুই নেতার মাঝে আলাচনা হয়েছ। কেননা ইউরোপ তার পূর্বাঞ্চল রক্ষার জন্য তুরস্কের উপর নির্ভর করে।

মে বলেন, ‘তুরস্ক যুক্তরাজ্যের প্রাচীনতম বন্ধু। এ সম্পর্ককে আরো গভীর করতে আরো অনেক কিছু করা যেতে পারে।’

এসময় এরদোগান ঘোষণা করেন যে, তুরস্কের লক্ষ্য হচ্ছে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বছরে ১৫ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য বৃদ্ধি করা।

ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে ব্রিটেন ও তুরস্ক মিলে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করবে বলে ঘোষণা দেন মে।

সূত্র: বিবিসি

মন্তব্যসমূহ