হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ট্রাম্পের বিরোধিতা করছেন সিনিয়র কর্মকর্তারা

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির আনুষ্ঠানিক সমালোচনা করতে যাচ্ছেন, এমনকি এর একটি খসড়াও তৈরি হয়ে গেছে।
বিবিসি ওই খসড়াটি দেখেছে, সেখানে লেখা রয়েছে, অভিবাসনের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করাটা অমার্কিনসুলভ, এটা করে যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ করা যাবে না।
গত শুক্রবার সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন মি. ট্রাম্প।
কূটনীতিকদের এই প্রতিবাদ করবার উদ্যোগকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সন স্পাইসার বলেছেন, "আপনাদের এটা নিয়ে সমস্যা? আপনারা হয় এই কর্মসূচী মেনে নিন নইলে আপনারা বিদায় নিতে পারেন"।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল স্যালি ইয়েটস বলেছেন, তার অফিস আদালতে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির পক্ষ হয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে না।
মিসেস ইয়েটস সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নিয়োগ করা একজন কর্মকর্তা।
অচিরেই তার স্থলাভিষিক্ত হবার কথা রয়েছে মি. ট্রাম্পের মনোনীত জেফ সেশনসের।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও বিচার বিভাগ থেকে প্রতিবাদের এই খবর এমন সময় এলো যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন নীতি নিয়ে সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় বইছে।
ব্রিটেনের বেশ কয়েকটি শহরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
এরকম প্রেক্ষাপটে রেওয়াজ ভেঙ্গে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বারাক ওবামা।
রেওয়াজ অনুযায়ী কোন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার উত্তরসূরিদের কর্মকাণ্ড নিয়ে কখনো মন্তব্য করেন না।
মি. ওবামা অবশ্য হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করার আগে বলেছিলেন, তিনি যদি মনে করেন মি. ট্রাম্প আমেরিকানদের মূল মূল্যবোধের উপর হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, তাহলে হয়তো তিনি এটা নিয়ে কথা বলবেন।
তার মুখপাত্র কেভিন লুইস বলেছেন, সাবেক নেতা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন বিষয়ক নীতির সাথে একমত পোষণ করেন না। বিবিসি

মন্তব্যসমূহ