যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েকটি মুসলিম দেশ থেকে শরণার্থীদের প্রবেশ, নিষিদ্ধ করে নিদের্শনা জারির পর, নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে ১১ জন শরণার্থীকে আটকের ঘটনা ঘটেছে।
জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের সামনে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হচ্ছেন, আটক হওয়া শরনার্থীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন।
সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা নিষিদ্ধ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ জারি করার পর থেকে বিভিন্ন বিমানবন্দরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
নিউ ইয়র্কের বিমানবন্দরে যে এগারোজনকে আটক করা হয়েছে তারা ততক্ষণে ট্রানজিটে পৌঁছে গিয়েছিলেন, এবং সেখানেই তাদের আটক করা হয়। যদিও আটকের সংখ্যাটি খুব বড় নয় কিন্তু এই নির্দেশনার ফলে বহু মানুষের ওপর প্রভাব পড়বে।
শনিবারই ইরাকের ৫ জন এবং ইয়েমেনের একজন নাগরিককে কায়রোর এক বিমান বন্দরে বৈধ ভিসা থাকা সত্বেও আমেরিকাগামী বিমানে উঠতে দেয়া হয়নি।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নির্দেশনা আসার পর মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিরোধিতা ও সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে।
কয়েকজন মার্কিন আইনজীবী নতুন বিধিনিষেধগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মি: ট্রাম্পের নির্দেশনা অনুসারে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সিরিয়া থেকে পালানো মানুষদের যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: বিমানবন্দরে আটকে যাচ্ছেন ৭ মুসলিম দেশের লোকেরা
যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকা কর্মীদের ফিরতে বলেছে গুগল
অন্যান্য যেসব মুসলিম দেশের অভিাসীদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর অবস্থান নিয়েছে, সেগুলো হচ্ছে ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।
এর ফলে এইসব দেশ থেকে অঅসা যাদের বৈধ ভিসা রয়েছে তাদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও এই কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে।
অর্থাৎ কোনও ব্রিটিশ নাগরিক যদি একউসঙ্গে ইরাকেরও নাগরিক হন, তবে তিনি আমেরিকায় ঢুকতে পারবেন না।
মি: ট্রাম্পের ভাষায়, 'উগ্র ইসলামী সন্ত্রাসীদের আমেরিকায় ঢোকা' বন্ধ করতেই এ পদক্ষেপ।
বিবিসি
মন্তব্যসমূহ