হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মহাকাশের আবর্জনা সরাতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির যান প্রেরণ করলো জাপান

পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে বিপুল পরিমাণ আবর্জনা সরানোর জন্য পরীক্ষামূলকভাবে একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করেছে জাপান।
অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টিলের তার দিয়ে তৈরি প্রায় ৭০০ মিটার লম্বা একটি দড়ির সাহায্যে মহাকাশে থাকা আবর্জনার গতি স্তিমিত করে সেটিকে কক্ষপথ থেকে সরিয়ে দেয়া হবে।
মাছ ধরার জাল প্রস্ততকারক একটি প্রতিষ্ঠানও এই যন্ত্রটি বানাতে সাহায্য করেছে।
ধারণা করা হয় মহাকাশে ১০ কোটিরও বেশি নানাধরনের আবর্জনা রয়েছে, যার মধ্যে পুরনো স্যাটেলাইটের ফেলে দেয়া যন্ত্রপাতি, রকেট বা স্যাটেলাইটের ছুটে যাওয়া বিভিন্ন ক্ষুদ্র অংশও রয়েছে।
এসব বস্তুর অনেকগুলোই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ২৮,০০০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত উচ্চগতিতে চলছে এবং যেকোন সময় কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটের সাথে এগুলোর সংঘর্ষের মাধ্যমে বিশ্বের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

১৯৫৭ সালে সোভিয়েত উৎক্ষেপিত প্রথম স্যাটেলাইট, স্পুৎনিক মহাকাশে পাঠানোর পর থেকে গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এসব আবর্জনা মহাকাশে জমা হয়েছে।
স্যাটেলাইটের মধ্যে সংঘর্ষ এবং স্যাটেলাইট ধ্বংসকারী অস্ত্রের পরীক্ষার ফলে এই অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে।
স্বয়ংক্রিয় কার্গো মহাকাশযানটির নাম দেয়া হয়েছে সারস পাখি বা জাপানি ভাষায় কোনোতোরি।
গবেষকরা বলছেন, পিচ্ছিল এবং ইলেক্ট্রো ডায়নামিক দড়িটি কোন বস্তুকে কক্ষপথ থেকে সরিয়ে দেয়ার মতো শক্তি উৎপাদন করবে। এসব আবর্জনাকে সেটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের দিকে ঠেলে দেবে এবং যার ফলে বস্তুটি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে।
এই প্রকল্পে জাপানের ১০৬ বছরের পুরনো একটি মাছের জাল প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান, নিত্তো সিমো কর্পোরেশন জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সাথে একসাথে কাজ করেছে। বিবিসি

মন্তব্যসমূহ