হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা: সরানো হচ্ছে অর্ধলক্ষাধিক বাসিন্দা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফেলা একটি বোমা নিষ্ক্রিয় করতে দক্ষিণ জার্মানির আউগসবুর্গ শহর থেকে অর্ধ-লক্ষাধিক বাসিন্দাকে জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
আজ বড়দিন হলেও লোকজনকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে।
বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর অবিস্ফোরিত কোন বোমার কারণে জার্মানিতে এর আগে কোন শহর থেকে এতো লোকজনকে কখনোই সরিয়ে নেওয়া হয়নি।
ব্রিটিশ এই বোমাটি ১ দশমিক ৮ টনের। ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৪৪ সালে বিমান হামলার সময় মিত্র বাহিনী জার্মানিতে এই বোমাটি ফেলেছিলো।
ওই বিমান হামলায় পুরো শহরটি ধ্বংস হয়ে যায়।
ভবন নির্মাণের কাজ করার সময় এই বোমাটি পাওয়া গেছে।

পুলিশ বলছে, তারা নিশ্চিত করে জানে না এই বোমাটি নিষ্ক্রিয় করতে কতো সময় লাগতে পারে।
বিবিসির ইউরোপ বিষয়ক সম্পাদক মাইক স্যান্ডার্স বলছেন, শহর কর্তৃপক্ষ কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না। তাই তারা সব লোকজনকেই সেখান থেকে সরিয়ে নিচ্ছে।
বলা হচ্ছে, বোমাটি যেখানে পাওয়া গেছে তার দেড় কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত বাড়ি ঘর থেকে সবাইকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, বেশিরভাগ বাসিন্দাই তাদের আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের বাড়িতে অবস্থান করতে পারেন। তবে লোকজনের থাকার প্রয়োজন হলে তাদের জন্যে কয়েকটি স্কুল এবং স্পোর্টস হলও খুলে দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকরা বলছেন, এর কারণে বড়দিনের উৎসব যে পণ্ড হয়ে গেছে তা নয়। কারণ বেশিরভাগ জার্মানই বড়দিনের উপহার খোলা এবং খাওয়া দাওয়া আগের দিন অর্থাৎ ২৪শে ডিসেম্বরেই সেরে ফেলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আরো যেসব বোমা সম্প্রতি উদ্ধার করা হয়েছে
মে ২০১৫: কোলন শহরে। ২০ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিলো। বোমাটি ছিলো এক টনের।
জানুয়ারি ২০১২: অয়েসকিরশেনে। একজন নির্মাণ শ্রমিক খননকারী যন্ত্র দিয়ে অবিস্ফোরিত বোমায় আঘাত করলে তিনি নিহত হন।
ডিসেম্বর ২০১১: কোবলেনৎস শহরে। ৪৫ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিলো। তখন রাইন নদীর তলদেশে দুটো বোমা পাওয়া যায়। নিষ্ক্রিয় করতে তিন ঘণ্টার মতো সময় লেগেছিলো।
জুন ২০১০: গোয়েটিংগেন শহরে। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের তিনজন সদস্য নিহত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে। বিবিসি

মন্তব্যসমূহ