জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

নাইজেরিয়ায় গির্জার ছাদ ধসে অন্তত ৬০ জন নিহত

নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উয়ো শহরে গির্জার ছাদ ধসে পড়ে অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছে। গির্জাটিতে তখন নতুন বিশপের অভিষেক অনুষ্ঠান চলছিল।
কিছু খবরে বলা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরো বেশি এবং এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রেজিনার্স বাইবেল চার্চের ঐ অনুষ্ঠানে প্রাদেশিক গভর্নরসহ শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন। গভর্নর উদোম ইমানুয়েল দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন।
গির্জাটি নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি এবং শ্রমিকেরাও গত কিছুদিন যাবত অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করার চেষ্টা করছিল।
মি. ইমানুয়েল বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিল কিনা সেটি তদন্ত করে দেখা হবে।
ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা যায় বড় বড় লোহার পাত এবং ধাতব বিম ভেঙ্গে পড়েছে।
এই ঘটনায় "গভীর দুখ:" প্রকাশ করেছেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারি।

একজন উদ্ধারকর্মী সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেছেন, এখনো পর্যন্ত ৬০ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ধ্বংসস্তূপ সরানোর পর এই সংখ্যা আরো অনেক বাড়তে পারে।
বেঁচে যাওয়া একজন নাইজেরিয়ার একটি টিভি চ্যানেলের সাতে সাক্ষাতকারে বলেছেন: "গির্জায় তখন সাধারণ প্রার্থনা চলছিল"
"গভর্নর পৌছানোর ২০ মিনিট পর হঠাৎ করেই ছাদটি ভেঙ্গে পড়ে। গভর্নরকে খুব দ্রুত উদ্ধার করা হয়। কিন্তু বাকিরা এতটা ভাগ্যবান ছিল না"। বলেন অজ্ঞাতনামা ঐ ব্যক্তি।
নাইজেরিয়ায় ভবন ধসে পড়ার ঘটনা তুলনামূলকভাবে বেশি। মূলত: নির্মাণকাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার এবং নির্মাণ বিধিমালা না মানাকেই এর বড় কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিবিসি

মন্তব্যসমূহ