হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

নাইজেরিয়ায় গির্জার ছাদ ধসে অন্তত ৬০ জন নিহত

নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উয়ো শহরে গির্জার ছাদ ধসে পড়ে অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছে। গির্জাটিতে তখন নতুন বিশপের অভিষেক অনুষ্ঠান চলছিল।
কিছু খবরে বলা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরো বেশি এবং এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রেজিনার্স বাইবেল চার্চের ঐ অনুষ্ঠানে প্রাদেশিক গভর্নরসহ শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন। গভর্নর উদোম ইমানুয়েল দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন।
গির্জাটি নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি এবং শ্রমিকেরাও গত কিছুদিন যাবত অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করার চেষ্টা করছিল।
মি. ইমানুয়েল বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিল কিনা সেটি তদন্ত করে দেখা হবে।
ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা যায় বড় বড় লোহার পাত এবং ধাতব বিম ভেঙ্গে পড়েছে।
এই ঘটনায় "গভীর দুখ:" প্রকাশ করেছেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারি।

একজন উদ্ধারকর্মী সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেছেন, এখনো পর্যন্ত ৬০ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ধ্বংসস্তূপ সরানোর পর এই সংখ্যা আরো অনেক বাড়তে পারে।
বেঁচে যাওয়া একজন নাইজেরিয়ার একটি টিভি চ্যানেলের সাতে সাক্ষাতকারে বলেছেন: "গির্জায় তখন সাধারণ প্রার্থনা চলছিল"
"গভর্নর পৌছানোর ২০ মিনিট পর হঠাৎ করেই ছাদটি ভেঙ্গে পড়ে। গভর্নরকে খুব দ্রুত উদ্ধার করা হয়। কিন্তু বাকিরা এতটা ভাগ্যবান ছিল না"। বলেন অজ্ঞাতনামা ঐ ব্যক্তি।
নাইজেরিয়ায় ভবন ধসে পড়ার ঘটনা তুলনামূলকভাবে বেশি। মূলত: নির্মাণকাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার এবং নির্মাণ বিধিমালা না মানাকেই এর বড় কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিবিসি

মন্তব্যসমূহ