হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০২

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর এ পর্যন্ত ১০২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে অন্তত ১৩৬ জন। ইন্দোনেশিয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমন সংস্থার বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৫টার দিকে সুমাত্রা দ্বীপের বান্দ আচেহ প্রদেশে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ও ধসে পড়া ভবনের সংখ্যা ২ শতাধিক।

উদ্ধার তৎপরতায় উদ্ধারকর্মী, সেনা ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে যোগ দেন গ্রামবাসী। এ ছাড়া, দ্য রেড ক্রস ইন্দোনেশিয়া জরুরি মোকাবিলা দল পাঠায়। পিদি জায়া জেলার মারাত্মকভাবে আক্রান্ত শহর মিউরিউডুতে চলছে জোরদার উদ্ধার কাজ। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছেন অনেকে।


দেশটির দুর্যোগ বিষয়ক জাতীয় সংস্থা জানিয়েছে, আনুমানিক ২৪৫টি ভবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধসে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৪টি মসজিদ। বাকিগুলো বাসাবাড়ি ও দোকানপাট। রাস্তায় রাস্তায় দেখা দিয়েছে ফাটল। উপড়ে গেছে বিদ্যুৎ লাইনের অনেগুকগুলো পোল।

ইউএস জিওলোজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় ৫টা ৩ মিনিটে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। আচেহ প্রদেশের উত্তর কোনে সিগলি নামক একটি শহরের ১৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্রবিন্দু। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১৭ কিলোমিটার গভীরে।

বুধবারের ভয়াবহ এই ভূমিকম্প আচেহ প্রদেশের নিবাসীদের কাছে নিকট অতীতের ভয়াবহ স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রবণ এলাকাটি ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পের পর সৃষ্ট ভয়াল সুনামিতে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে প্রাণ হারিয়েছিল এক লক্ষাধিক মানুষ।

এদিকে রাজধানী জাকার্তায় দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো বলেছেন, তিনি আচেহ প্রদেশের উদ্ধার তৎপরতায় সকল সরকারি সংস্থাকে যোগ দেয়ার নিদের্শ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভূমিকম্প কবলিত স্থানে প্রেসিডেন্ট উইডোডোর যাওয়ার কথা রয়েছে। আরটিএনএন

মন্তব্যসমূহ